সুখের লাগিয়া রন্ধন করিনু
ঝালেতে ঝালিল দে।
স্বাদু নহিল জাতি সে গেল
ব্যঞ্জন খাইবে কে।।
সই, ভোজন বিস্বাদ হৈল।
কানুর পীরিতি রস এই মতি
কি জানি কেমন হল।।
পীরিতি রসের নাগর দেখিয়া
আরতি বাড়াইনু তাথে।
তবে সে সজনি দিবস রজনী
আনল উঠিল চিতে।।
উঠিতে উঠিতে অধিক উঠিল
পীরিতে ডুবিল দেহ।
নিমে দুধ দিয়ী একত্র করিয়া
ঐছন কানুর লেহ।।
চণ্ডীদাসে কয় হিয়ায় সহয়
সকলি গরল হৈল।
কিছু কিছু সুধা বিষগুণা আধা
চিরঞ্জীবী দেহ কৈল।।