সতী কুলবতী সকল যুবতী
রাধারে আনিয়া ঘরে।
পরম আদরে মধুর বচনে
সোঁপিল জটিলা করে।।
হরিষ বদনে জটিলা তখনে
সভার করিয়া মান।
আদর বাদরে বিনয় বেভারে
দেয়ল কর্পূর পান।।
দুবাহু তুলিয়া দেবতা ডাকিয়া
সঘনে আশিস করে।
প্রণমি জটিলা সবাই চলিলা
আপন আপন ঘরে।।
দেবরোষ হেরি ভয়ে ভীত বুড়ী
মনেতে বিচার করে।
দেব যার বশ মিছা অপযশ
না বুঝি দেয়লুঁ তারে।।
পরের বচনে হৈয়া অচেতনে
করিলুঁ দারুণ কাজ।
দেখিলুঁ নয়ানে শুনিলুঁ শ্রবণে
মাথায় পড়িত বাজ।।
ভাল বটে বেটি করিয়া আখটি
মানাইল নারায়ণ।
তেঞিসে আমার রহিল সংসার
পুত্র পরিবার ধন।।
বধূর মরম জানিয়া ছরম
বুড়ী সে কাতরে বলে।
ও মোর দুলালি আঁখির পুতলি
সিনাহ শীতল জলে।।
এতেক বচন শুনিয়া তখন
মনেতে হইল রঙ্গ।
বালা করি ছলা বিরলে বসিলা
শেখর করিয়া সঙ্গ।।