সজনী রজনীর যোগে, কোন কলে বাজেরে বংশী ধ্বনি,
কুঞ্জবনে দীপ্তি জ্বালি, বেণী টানে বনমালী, হালিয়ে ঢলিয়ে পড়ে অবলা নন্দিনী।
দশ সখী সঙ্গে আনি প্রবেশিল কংস রাণী,
ঘিরিয়ে রাখিল তারা, ঐ মোহন বাঁশী ধ্বনি।
কংস রাণীর ধ্বংস চিত, তার যত কু-চরিত,
তালি দিয়ে ভঙ্গ করে ঐ সুখেরি যামিনী।
মুখেতে অমৃত ভরা, অমৃতে গরল ছারা,
গালেতে ঢালিয়ে বিড়ী, বাঁশীটি নিল টানি।
সখী সনে কংস রাণী, বেহার করে মধুবাণী
পুষ্প-মালা গলে দিল, মুণ্ডেতে পরশমণি।
চতুর্দিকে ডংকা বাজে কংস সিংহাসনে সাজে,
মন্ত্রী সাজাইল তার, ছিল যে কুব্জারাণী।
নৃপতি নন্দিনী লয়ে, গঙ্গা ও যমুনা পায়ে, বন্ধ করে দিল পন্থ, ছিল যত তরণী।
দীনহীন জহুরে কয়, সত্য পন্থ যেই লয়,
কংস রাণীর বংশ হনে দূর করে তার পরাণী।