শূন্য খাটে দিল হাত ব্রজ পড়িল মাথাত
বুঝি বিধি মোরে বিড়ম্বিল।
করুণা করিয়া কান্দে কেশবেশ নাহি বান্ধে
শচীর মন্দির কাছে গেল।।
শচীর মন্দিরে আসি দুয়ারের কাছে বসি
ধীরে ধীরে কহে বিষ্ণুপ্রিয়া।
শয়ন মন্দিরে ছিল নিশা অন্তে কোথা গেল
মোর মুণ্ডে বজর পড়িয়া।।
গৌরাঙ্গ জাগয়ে মনে নিদ্রা নাহি দুনয়নে
শুনিয়া উঠিল শচীমাতা।
আলু থালু কেশে যায় বসন না রহে গায়
শুনিয়া বধূর মুখের কথা।।
তুরিতে জ্বালিয়া বাতি দেখিলেন ইতি উতি
কোন ঠাঁই উদ্দেশ না পাইয়া।
বিষ্ণুপ্রিয়া বধূ সাথে কান্দিয়া কান্দিয়া পথে
ডাকে শচী নিমাই বলিয়া।।
তা শুনি নদীয়ার লোকে কাঁদে উচ্চৈস্বরে শোকে
যারে তারে পুছয়ে বারতা।
একজন পথে ধায় দশজনে পুছে তায়
গৌরাঙ্গ দেখেছ যেতে কোথা।।
সে বলে দেখেছি যেতে আর কেহ নাহি সাথে
কাঞ্চন নগরের পথে ধায়।
বাসু কহে আহা মরি আমার শ্রীগৌর হরি
পাছে জানি মস্তক মুড়ায়।।