রাধিকাচকোরী হাসি শ্যাম সনে মিলে আসি
পিয়ে সুধা হরষিত মনে।
দূরে দুহুঁ দোহাঁ দেখি পালটিতে নারে আঁখি
হানিল কুসুমশর বাণে।।
অবশ হইল গা চলিতে না চলে পা
পুলকে পূরল দুহুঁ তনু।
সুবল সময় জানি হাতসানি বোধি ধনী
লইয়া চলিলা তবে কানু।।
খড়িকে রাখিয়া গাই রাম কৃষ্ণ ঘরে যাই
প্রণমিলা জননী চরণে।
যশোদা চুম্বন করে দেখিতে না পায় লোরে
আশিস করয়ে দুইজনে।।
রাই যাই বসি ঘরে পাঠাইল তুলসীরে
মরম কহিয়া ভার কাণে।
সখীগণ লৈয়া রাধা পূরয়ে মনের সাধা
যে সব লখিতে নারে আনে।।
তুলসী উলসী হৈয়া যায় উপহার লৈয়া
সত্বরে পশিল রাজঘরে।
গোপতে লইয়া থালা ধনিষ্ঠারে দিলা বালা
কহিলা রাইএর সমাচারে।।
জানিয়া রাধার মর্ম্ম শেখর করয়ে কর্ম্ম
বিছানা বিছায় কত ভাতি।
সখীগণ লৈয়া সাথে বসি রসবতী তাথে
তুলসী আসিবে কত রাতি।।