রাধারে ধরিয়া কোরে লইল মনের সবে
আলিঙ্গন করে নব রামা।
শ্রীঅঙ্গ পরশ পাই সো নব কিশোরী রাই
জানল পরশ রস প্রেমা।।
কপট করিয়া ছলা জানল (* ) কালা
জানি ধনী সো অঙ্গ পরশে ।
জানিল কালিয়া কানু ছুইতে আপন তনু
আপনা আপনি ভালবাসে ।।
উঘারিয়া প্রেমরস আপনি পায়ল রস
ঐছন কপট রস লেহ।
হাসি সুধামুখী রাই পিয়ার বদন চাই–
“তোমার চরিত বড় এহ।।
বিনোদ মোহন বেশ তার কিছু নাহি লেশ
এ সব রাখিয়া আইলে কোথা।
ধরিয়া নারীর বেশ বান্ধিলে লোটন কেশ
কেমতে আইলে তুমি এথা।।”
হাসিয়া কহেন হরি– “শুনহ কিশোরী গুরি,
তোমার বচন নহে আন।
তোমার বচন ধরি আন না করিল আমি
ধরিল নারীর বেশ ঠান।।”
নিয়া নিকেতন ঘরে আনন্দে বেহার করে
কত সুখ কহনে না যায়।
শূন্য মন্দির ঘরে দুজনে বেহার করে
চণ্ডীদাস দুহুগুণ গায়।।