রাধারে উতল দেখি কহিছে ললিতা সখি
বিধুমুখি ধৈর্য্য ধর মনে।
গৃহে গুরুজন আছে গঞ্জনা দিবেক পিছে
সময়ে যাইব নিধুবনে।।
ভূষণে ভূষিত হয়ে ভুবনমোহিনী।
হরি দরশনে যায় কুঞ্জর-গমনী।।
বৃষভানু-নন্দিনী রমণীর শিরোমণি
নব নব রঙ্গিণী সঙ্গে।
নূপুর পাতা পাদমল করিতেছে ঝলমল
নিরখিতে চলিল ত্রিভঙ্গে।।
সদ্যোজাত ক্ষীর ননী লইল যতনে।
ক্ষীরভাণ্ড ছানা আদি আনন্দিত মনে।।
তুঙ্গবিদ্যা সখি নিল ফুলসাজি সঙ্গে।
পথে পথে ফুল ফেলি যায় নানা রঙ্গে।।
ললিতা বিশাখা স্কন্ধে হস্ত আরোপিয়ে।
বাড়াইল বাম পদ শ্যাম জয় দিয়ে।।
যাইতে যাইতে পথে অবশ অঙ্গ প্রেমেতে
অধীরা হইয়া ধনি বলে।
নিরখিতে কৃষ্ণনিধি পদ মোর হলো বাদি
অচল হইল নাহি চলে।।
যে বনে প্রাণকান্ত আছে সে বন এত দূর আছে
বল মোরে মরমিয়া সখি।
শুনি বৃন্দে কহে পুন নিকট হইল বন
শ্যাম অঙ্গের সৌরভ সুধামুখী।।
তখন যাইতে যাইতে কুটিলার সঙ্গেতে
আচম্বিতে দেখা হইল পথে।
দেখি ধনি শশব্যস্ত চন্দ্র যেন রাহুগ্রস্ত
কিরণ মলিন ভয়েতে।।
কহে গোবিন্দদাস হেরিয়ে মন উদাস
ঘন শ্বাস বহিছে নাসাতে।।