রসিক নাগর সাজি বাজিকর
সঙ্গেত সুবল সখা।
ঢোলক বাজাইয়া দড়ি দড়া লৈঞা
ভানুপুরে দিলা দেখা।।
ধূলা মাখি গায় জুপুপ ঝুলায়
নটপটি পাগ শিরে।
সুবল সখার কান্ধে দিয়া ভার
নামাইলা ধীরে ধীরে।।
কুহক লাগাইয়া ঝুলি যে খুলিয়া
মুকুতা বাহির করে।
উগারে বদনে বহুমূল্য ধনে
রাখে সব থরে থরে।।
পেটে গুয়া দিয়া বাঁশেতে চড়িয়া
ঘুরয়ে কতেক পাকে।
দড়া বান্ধি তায় হাঁটি হাঁটি যায়
সুতা উগারয়ে নাকে।।
দেখিতে যতনে সব গোপীগণে
সঙ্গে রসবতী রাই।
আমার মহলে আইস আইস বলে
সভাই দেখিতে চাই।।
শুনি বাজিকর চলে তার ঘর
লইয়া সকল সাজে।
শিরে পদ দিয়া পড়ে উলটিয়া
রাইয়ের আঙ্গিনা মাঝে।।
কতেক কুহক দেখায় কৌতুক
শিরে হাঁটি হাঁটি চলে।
ধনী হাসি মন বিচিত্র বসন
বাজিকর শিরে ফেলে।।
বসন না লয় আর ধন চার
কহে সুবদনী পাশে।
হিয়ার মাঝে হেমঘট আছে
দিয়া পূর অভিলাষে।।
শুনিয়া নাগরী বুঝিলা চাতুরী
চমকিত হৈলা মনে।
হেন বাজিকর না দেখিয়ে আর
কত ঢীটপনা জানে।।
যমুনার কূলে সুরতরু মূলে
সকল সাধিবা তথা।
এ উদ্ধব সাথে চলিলা তুরিতে
বুঝিয়া সংকেতকথা।।