রন্ধনে মলিনী হইয়া রমণী
বাহিরে আসিয়া বসি।
ঘামে টলমল সে অঙ্গ অতুল
যেমন দিবসে শশী।।
আসি দাসীগণ করায় সিনান
সুগন্ধে শীতল নীরে।
প্রিয় সখীগণ পরায় বসন
ছরম করল দূরে।।
রাধা দাসীগণ চতুর নিপুণ
মাজিয়া বিরল ঘরে।
বসিতে আসন জলের ভাজন
সারি সারি করি ধরে।।
যশোদা আকুলি করিয়া বিকুলী
রাইরে করল কোরে।
ও মোরে বাছনি মূ যাও নিছনী
ভোজন করহ বোলে।।
রাণীর বচনে চলিলা ভোজনে
বসিলা আসন পরি।
রোহিণী আনিয়া দেন যোগাইয়া
থালিয়ে বেলিয়ে ভরি।।
রাধার যে পণ জানিয়া তখন
কুন্দলতা প্রিয়তমা।
প্রিয় শেষ লৈয়া দিলেন আনিয়া
করিয়া চাতুরি সীমা।।
সখীগণ সঙ্গে নানা রসরঙ্গে
ভোজন করল সুখে।
ভক্ষ্য সমাপন করি আচমন
তাম্বূল দেয়ল মুখে।।
পালঙ্ক উপরি বসিলা সুন্দরী
বালিশে হেলান দিয়া।
রাইয়ের ইঙ্গিতে যে ছিল থালীতে
ভুঞ্জল শেখর গিয়া।।