রতনমঞ্জরী যতন করি।
রতন আসন পাতল সারি।।
সুগন্ধি সলিলে পূরিয়া ঝারি।
আসন নিকটে রাখল ধরি।।
লবঙ্গমঞ্জরী লাড়ুর থালা।
আনিয়া ধরিল দুধের বেলা।।
দধি কদলক আচার যত।
পৃথক করিয়া রাখল কত।।
আসিয়া আসনে বসিলা রাধা।
দেখিতে মনের পূরল সাধা।।
কানু অবশেষে পরশ পাই।
অমিয়া সাগরে সাঁতারে রাই।।
পুলকে পূরল রাইক তনু।
পিয়ারস-মধু পায়ল জনু।।
অধর অথির ভাবের ভরে।
ভরমে ভুলিল ভুঞ্জিতে নারে।।
তরুণ নয়নে ভরল লোর।
যুগল অঙ্গুলে ভুঞ্জয়ে থোর।।
না করে ভোজন না চলে কর।
মঞ্জরী মরমে উপজে ডর।।
মদনমঞ্জরী মদনে মতা।
মধুর মধুর কহয়ে কথা।।
এমনে কেমনে যাইবে দিন।
এতেক না দেখি ভালের চিন।।
সত্বরে সকল ভূঞ্জহ রাই।
সময়ে সঙ্কেতে যাইতে চাই।।
রঙ্গবতী গুণমঞ্জরী সাথে।
কহত ললিতা আসিছে পথে।।
বিশাখা বিষাদে আসিছে ধাঞা।
রসবতীগণের শবদ পাঞা।।
ইহাতে কেমনে করব কাজ।
রাধিকা রহলি ঘরের মাঝ।।
আমরা সভাই রভস সাথী।
ছুটল অবধি উঠল রাতি।।
শুনিয়া কামিনী কপট কলা।
তরাসে ভুঞ্জল সকল বালা।।
আঁচাইয়া আঁচলে মুছল মুখ।
তাম্বূল খাইয়া পাওল সুখ।
সুখদ পালঙ্কে শুতল রাই।
শেখর শেষে ভুঞ্জল যাই।।