যমুনা যাইতে পথে রসবতী রাই।
দেখিয়া বিদরে হিয়া সোয়াথ না পাই।।
কি বা খণে আল সোই কি দেখিনু তারে।
ওরূপ লাবনি ধনি ! নয়নে পরে।।
মেলিয়া দীঘল কেশ ফেলিয়া নিতম্বে।
চলে বা না চলে রাই রস অবলম্বে।।
তাহে মুখ মনোহর ঝলমল করে।
কাম চামর করে পূর্ণ শশধরে।।
তাহে অতি বিরাজিত ঘাম বিন্দু বিন্দু।
মুকুতা ভূষিত যেন পূণমিক ইন্দু।।
মন্দ মধুর হাস বিলাস অধরে।
সেই সে সমাধি রহু মরম ভিতরে।।
ফুয়ল নীলিম বাস রহে আধ উরে।
আধ গিরি মাঝে যেন নবজলধরে।।
উর আধ পরে লোলে মুকুতার হারে।
সুমেরু শিখরে যেন সুরধুনী ধারে।।
মঝু মন রহি তহি করত সিনান
গোবিন্দদাস কহে ইহ পরমান।।