মুখরার সঙ্গে রাই সখীগণ সনে।
যমুনা সাঁতার দেখি ভাবে মনে মনে।।
ডাক দিয়া বলে নায়্যা নৌকা আন ঘাটে।
আমরা হইব পার বেলা সব টুটে।।
দেখিয়া নাগররাজ জীর্ণ তরি লৈয়া।
হাসিয়া কহয়ে কথা কাণ্ডারী হইয়া।।
কি দিবে আমারে কহ কতেক বেতন।
একে একে পার করিব যত জন।।
রাই কহে যাহা চাও তাহা আমরা দিব।
কাণ্ডারী কহয়ে হিয়ার রতন লইব।।
সখী সঞে নৌকায় চড়িল বিনোদিনী।
তরঙ্গ বাড়িল তায় জীর্ণ তরিখানি।।
তরঙ্গের রঙ্গে নৌকা ডুব ডুব করে।
হেরি সব সহচরী কাঁপয়ে অন্তরে।।
তরঙ্গ দেখিয়া থরহরি কাঁপে রাই।
কোলে করি বায় নৌকা কাণ্ডারী কানাই।।
রাই কোলে করি নাগর হরষিত চিতে।
এ পার হইল নৌকা দেখিতে দেখিতে।।
দুহুঁ অঙ্গ পরশিতে দুহুঁ প্রেমে ভাসে।
নৌকাবিলাস কহে উদ্ধব দাসে।।