বন্ধু ভাবে জাগিতে চাপিল কাল ঘুমে। ধু
ধরিয়া মোহন বেশ মন্দিরে কানু পরবেশ বিনোদিনী সুতি আছে সিংহাসনে।
ঘুমের আলসে রাই নিদ্রাতে চৈতন্য নাই কোরে কানু রাধা নাহি জানে।
অধরে অধর দিয়া শ্রুতিমূলে কথা কৈয়া শুন রে রমণী ধনি রাই।
অঙ্গের সৌরভ পাইয়া গাওখাানি মোড়া দিয়া উঠে রাধে চান্দ মুখ চাই।
শুনিয়াছি রাধিকা রাই গোকুলে বসতি নাই, ব্রজকুলে বোলে হরি হরি।
সৈয়দ মর্তুজা কয় রাধা কলঙ্কিনী হয়, ঐহি ভাবে ঝুরি ঝুরি মরি।
বসে ঠামে ঠামে কে বলে কালিয়া ভোলা অন্তরে
বাহিরে কালা নহে রস বিনোদিয়া। ধু
কি মোর নসিবের লেখা নয়ানে নয়ানে দেখা
প্রাণি যায় ঝুরিয়া ঝুরিয়া। কালা নহে রস বিনোদিয়া,
মনকাড়ে আর বাঁশিবাএ হালিয়া চলিয়া যায়, বাঁশীর সানে রাধার মন কান্দে।
কি তার চূড়ার ঠাম, মুখখানি পূর্ণিমার চান্দ চূড়ার উপরে ভ্রমর গুঞ্জরে ।
সৈয়দ মর্তুজা কয় পর কি আপনা হয় পরের লাগি পরের মন কান্দে।