বদন মেলিয়া গোপাল রাণী পানে চায়।
মুখ মাঝে অপরূপ দেখিবারে পায়।।
এ ভূমি আকাশ আদি চৌদ্দ ভুবন।
সুরলোক নাগলোক নরলোকগণ।।
অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড গোলোক আদি যত ধাম।
মুখের ভিতর সব দেখে নিরমাণ।।
শেষ মহেশ ব্রহ্মা আদি স্তুতি করে।
নন্দ যশোমতী আর মুখের ভিতরে।।
দেখি নন্দ ব্রজেশ্বরী বচন না স্ফুরে।
স্বপ্নপ্রায় কি দেখলুঁ হেন মনে করে।।
নিজ প্রেমে পরিপূর্ণ কিছুই না মানে।
আপন তনয় কৃষ্ণ প্রাণ মাত্র জানে।।
ডাকিয়া কহয়ে নন্দে আশ্চর্য্য বিধান।
পুত্রের মঙ্গল লাগি বিপ্রে কর দান।।
এ দাস উদ্ধবে কহে ব্রজেশ্বরীর প্রেম।
কিছু না মিলায় যেন জান্বুনদ হেম।।