প্রথম দশা দিনে নিভৃতে নিকুঞ্জবনে
বৈঠল অবনত মাথ।
দ্বিতীয় দশাতে সব নিশি জাগর
প্রিয় সহচরি করি সাথ।।
তৃতীয় দশা যব মাধব কি কহব
সোই বিরহক জ্বালা।
উদ্বেগ যত তত তাহা বা কহব কত
ত্যজল মোতির মালা।।
চতুর্থ দশা দিনে সখিগণ ডাকিয়ে
আভরণ দেয়ল বাটি।
ইহ বিপরীত কভু নাহি শুনিয়ে
সঙ্গিণী মরত জীউ ফাটি।।
পঞ্চম দশা দিনে নীল শাড়ি ত্যাজিয়ে
পহিরল অরুণাভ বাস।
কিয়ে দিন রাতিয় থির হিয়া জর জর
নাসায় খরতর শ্বাস।।
তুয়া অবলেহ অবধি করে সো দিন
মধুপুর গমন বিচারি।
সো সব অবহু প্রলাপ করত ধনি
ষষ্ঠ দসা অনুসারি।।
সপ্তম দশা দিনে অনিমিখ লোচনে
রোয়ি গলত অনিবার।
ধারি তমালে ক্রোড়ে করি কৃষ্ণ বলি ফুকারিয়
অবিরত বহে জলধার।।
অষ্টম দশা দিনে শেজ পাতি শুতল
অমল কমল দল পাতি।
কিয়ে দিন রাতিয় থির হিয়া জর জর
মৌনিক যোগী জনু ভাতি।।
নবম দশা দিনে অচেতন ক্ষণে ক্ষণে
ভুমে লুটত অনিবার।
মোরা বহুত ফুকারিয় উত্তর না দেয়ল
কণ্ঠ হি ঘর ঘর তার।।
না জানি দশম দশা তুয়া পাশে আইলুঁ
অবহু বিচারহ বাণী।
গোবিন্দদাস ভণ কি ভেল এতখন
ভালমন্দ কিছুই না জানি।।