প্রকট শ্রীখণ্ডবাস নাম শ্রীমুকুন্দ দাস
ঘরে সেবা গোপীনাথ জানি।
গেলা কোন কার্য্যান্তরে সেবা করিবার তরে
শ্রীরঘুনন্দনে ডাকি আনি।।
ঘরে আছে কৃষ্ণসেবা যত্ন করি খাওয়াইবা
এত বলি মুকুন্দ চলিলা।
পিতার আদেশ পাঞা সেবার সামগ্রী লৈয়া
গোপীনাথের সমুখে আইলা।।
শ্রীরঘুনন্দন অতি বয়ঃক্রম শিশুমতি
খাও বলে কান্দিতে কান্দিতে।
কৃষ্ণ সে প্রেমের বশে না রাখিয়া অবশেষে
সকল খাইলা অলক্ষিতে।।
আসিয়া মুকুন্দ দাস কহে বালকের পাশ
প্রসাদ নৈবেদ্য আন দেখি।
শিশু কহে বাপ শুন সকলি খাইলা পুন
অবশেষ কিছুই না রাখি।।
শুনি অপরূপ হেন বিস্মিত হৃদয়ে পুন
আর দিন বালকে কহিয়া।
সেবা অনুমতি দিয়া বাড়ীর বাহির হৈয়া
পুন আসি রহে লুকাইয়া।।
শ্রীরঘুনন্দন অতি হইয়া হরিষ-মতি
গোপীনাথে লাড়ু দিয়া করে।
খাও খাও বলে ঘন অর্দ্ধেক খাইতে হেন
সময়ে মুকুন্দ দেখি দ্বারে।।
যে খাইল রহে তেন আর না খাইলা পুন
দেখিয়া মুকুন্দ প্রেমে ভোর।
নন্দন করিয়া কোলে গদগদ স্বরে বলে
নয়ানে বরিখে ঘন লোর।।
অদ্যাপি শ্রীখণ্ডপুরে অর্দ্ধলাড়ু আছে করে
দেখে যত ভাগ্যবন্ত জনে।
অভিন্ন মদন যেই শ্রীরঘুনন্দন সেই
এ উদ্ধব দাস রস ভণে।।