পুন সে ধরিল অতি মনোহর
এ নব মুরতি বেশ।
পরিধান নীল বসন ভূষণ
অতি সুচাঁচর কেশ।।
নব সে নলিন ভুবন-মোহন
চিত্রের পুতলি যৈছে ।
কনক মঞ্জরি সুচারু গঠন
বেকত দেখিল তৈছে।।
সোণার প্রতিমা বিজুরি-উজোর
নয়ান-ভঙ্গিমা তায়।
কণক কটোরি বদরি সমান
দেখি মন মূরছায়।।
নীল শাড়ী তাহে ওড়নী ভঙ্গীমা
চাহনি কটাক্ষে বাঁকে।
মদন কম্পিত হইল বেকত
সেই সে মূরতি দেখে।।
মধুর মূরতি দেখি যদুপতি
হরষ পাইল তার।
“পূরবে দেখিল যেমন মূরতি
সেই মত অভিপ্রায়।।
মনমত্তহাতী ধরিতে না পারি
মরমে লাগিল তাহা।”
এই অনুমানে করি নিরীক্ষণে
পুলক মানিল দেহা
কহেন সুবল “কেন দেখাইনু
মনেতে লাগিল তাহা।
কহ কহ ভাই, প্রাণ কানাই,
এই সে কেমন দেহা।”
ছাড়িয়া মূরতি সুবল আকৃতি
হইল যেমত সখা।
নন্দের নন্দন মোহিত মানল
চণ্ডীদাস দেখে একা।।