আর কে যাইবি বড়শি বাইতে নূতন পুকুরে;
পুষ্করিণী সাড়েতিন রতি ঘাটলাতে জ্ঞানের বাতি
–নয় শিরে নয় ধার খেলে।
আছে দই দুগ্ধ উদয়চন্দ্র রামানন্দ ভক্তবৃন্দ
পাড়ের ঘাটে একদিন যদি মেলে;
আয় কে যাইবি বড়শি বাইতে নূতন পুকুরে,
আরও পুষ্করিণী তিন কোনা, ভিতরে তার লাল নিশানা,
চিন্তামণি মাসে মাসে খেলে,
রসিক ডুবারু যারা টের কইরে নিচ্ছে তারা
–পুষ্করিণীতে মোতি নিছে তুলে
আয় কে যাইবি বড়শি বাইতে নূতন পুকুরে।
আছে ভাবের ছিপ প্রেমের সুতা অনুরাগে আধার গাঁথে
–যদি সেই মীনে গেলে।
আছে ভনসিন্ধু পারের বেলা যমেরে দেখাইয়া কলা
–গুরু বইলে পাড়ের নৌকা খোলে।
আছে একটি গাছে দুই মূল তিন কলি চার ফুল
–শোভা করে ছয় ডালে।
গাছে যখন ছাড়বে ভক্তিলতা জড়িয়া ধরবে কতই লতা
–ও তাই সাধু দরবেশ বৈষ্টমে তাই বলে।
দরবেশ লালন শা কয়, ভারে ভারে শোন রে কিছু বলি তোরে
–ঐ ভাব ছিল যার অন্তরে,
এবার গুরুর রূপে নয়ন দিয়ে নিরিখ পানে থাক গে চাইয়ে
–মানুষ জনম যাতে ভবে পাইরে।