না লো সজনী আমি শুনিয়াছি শ্রবণে। ত্রিপুনীয়ে বাজিল জয়ধ্বনি।
উদাসিনী করিয়া মোরে বংশীয়ে নিল প্রাণী। প্রেমবায়ে বংশীয়ে ডাকে নাম ধরি।
সন্ন্যাসী করিল মোরে মুকুন্দ মুররী । হাটে ঘাটে মাঠে ফিরি হৈয়া কলঙ্কিনী।
যথায় তথায় যাইয়া শুনি বাঁশীর প্রেমধ্বনি। কদমতলে বাজাও বাঁশী শুনি কর্মনাশী।
মনচুরা বংশীয়ে মোরে কৈল উদাসী। বৃন্দাবনে হয় শব্দ আঁখিয়ে না হেরি।
পাঞ্জর চোষিল বংশী বিরহেতে ঝুরি। কুঞ্জবনে বাজাও বাঁশী রসের চূড়ামণি।
শব্দ শুনি প্রাণদহে জ্বলন্ত আগুনি। রস প্রেম প্রভু তুই অপূর্ব কাহিনী।
বংশীতে আছয়ে বন্দী জগতের প্রাণী। শিতালং ফকিরে কহে প্রেমগুণমণি।
বিনা দরশনে হৈলু কলঙ্কী দুঃখিনী।