দেবী ভগবতী পৌর্ণমাসী খ্যাতি
প্রভাতে সিনান করি।
কানুর দরশে চলিলা হরষে
আইলা নন্দের বাড়ী।।
শিরে শুভ্র কেশ তাপসীর বেশ
অরুণ বসন পরি।
বেদময় কথা ঘন হালে মাথা
করতে লগুড় ধরি।।
দেখি নন্দরাণী ধাইয়া অমনি
পড়িল চরণতলে।
তারে কোলে লৈয়া শির পরশিয়া
আশিস বচন বোলে।।
সতী শিরোমণি অখিল জননী
পরাণ বাছনি মোর।
পতি পুত্রসহ ধেনু বৎস সব
কুশলে থাকুক তোর।।
রাণী তারে লৈয়া তুরিতে আসিয়া
দেখয়ে পুত্রের মুখ।
গায়ে হাত দিয়া উঠায় ধরিয়া
স্নেহে দরদর বুক।।
নয়ানের নীরে স্তন-খির ধারে
ভিগয়ে শয়ন বাস।
ধনিষ্ঠার পাশে দেখি মনে হাসে
এ যদুনন্দন দাস।।