দূতী শ্যাম অন্বেষণে যায়।
ঢুঁরিতে ঢুঁরিতে চন্দ্রাবতী কুঞ্জে
শ্যাম সৌরভ পায়।।
গন্ধেতে মাতিয়া অলি পুঞ্জে পুঞ্জে
ভ্রমণ করয়ে তথা।
তা দেখিয়া দূতী মনে বিচারিল
নিচয় নাগর আছয়ে হেথা।।
আড়েতে দাঁড়ায়ে গবাক্ষের পথে
কুঞ্জের ভিতরে চায়।
চন্দ্রাবলী সনে কুসুম শয়নে
আছেন নাগর রায়।।
তথা ধিকি ধিকি জ্বলে বাতি।
কোকিল জাগিল কুহুরব করি
অলপ আছয়ে রাতি।।
তা দেখিয়া দূতী তুরিত গমনে
চলিল রাইর পাশ।
নিশি অবশেষে কলহ বাধিবে
কহে বলরাম দাস।।