দুহুঁ মুখ হেরইতে দুহুঁ ভেল ধন্দ।
রাই কহে তমাল মাধব কহে চন্দ।।
চীত পুতলি যেন রহু দুহুঁ দেহ।
না জানিয়ে প্রেম কেমন অছু নেহ।।
এ সখি দেখ দেখি দুহুঁক বিচার।
ঠামরি কেহ লখই নাহি পার।।
ধনি কহে কাননময় দেখি শ্যাম।
সো কিয়ে গুণব মঝু পরিণাম।।
চমকি চমকি উঠে নাগর কান।
প্রতি তরুতলে দেখে রাই সমান।।
দোহেঁ দোহেঁ যবহুঁ নিচয় করি জন।
দুহুঁক হৃদয়ে পৈঠল পাঁচবাণ।।
দোহেঁ দুহুঁ মিলল বাহু পসারি।
দোহেঁ সুখে মাতল সব সুকুমারি।।
দুহুঁ লেই বৈঠল বকুলক ছায়।
অগুরু চন্দন কেহ দেয় দুহুঁ গায়।।
দুহুঁ পদপঙ্কজে কেহ দেই নীর।
কেহ বীজই লেই পাতল চীর।।
মধুমতী মধু লয়ে করল পয়ান।
কনক বেলি ভরি দুহুঁ করু পান।।
দুহুঁ অঙ্গে বিকশিত বিবিধ বিকার।
মাতল মনমথ লাজকি আর।।
দুহুঁ মেলি বৈঠলি নিভৃত নিকুঞ্জে।
দুহুঁ জন গাওলি মধুকর পুঞ্জে।।
রাধা মাধব দুহুঁ এক ঠাঁয়।
দুহুঁ মুখ নিরখই শেখর রায়।।