“দুই সুধা লয়ে বিহি গেল ধেয়ে
গড়ল মূরতি দুই।
কুন্দন সুন্দর অতি মনোহর
মূরতি হইল সেই।।
যখন গড়ল প্রথম পৃথক্
নিরমাণ কৈল দেহা।
সম্মুখে আছিল রূপের সুধায়ে
পড়িল কাজর রেহা।।
সেই সুধা লয়ে গড়ল মূরতি
কালিয়া হইল শ্যাম।
আর সুধা ছিল আন ঘট পূরি
তার কহি পরমাণ।।
তবে সেই বিহি গড়ল মূরতি
অনেক যতন করি।
চামস করকলা (?) পড়ল তাহাতে
তাহাতে হইল গৌরী।।
বিহি নিরমিয়া চলল সেখানে
যেখানে রসের নদী।
সেই নদীজল ধোয়াল সুন্দর
মাজল বেকত সিধি।।
কোনখানে কৈল সেই সে সম্পদ্
এ তিন ভুবনে ধাতা।”
চণ্ডীদাস বলে– এই দুই মূরতি
কে জানে এ সুখ-কথা।।