দুই দুই গোপিনি অন্তরে কৃষ্ণকেলি।
দুই দুই কৃষ্ণ মাঝ গোরি গোরি মেলি
অপরূপ রভস রসাল ফুলবনে।
শত শত রমণি রময়ে একজনে।।
কনক চম্পক সঙ্গে মরকত মণি।
বিশাল মৃণাল যেন বিরল গাঁথনি।।
সুরতরু বেঢ়িয়া মণ্ডলি দুহুঁ ফেরি।
তার মাঝে থাকি কৃষ্ণ পূরয়ে বাঁশরি।।
উচ্চৈঃস্বরে গায় গীত বরজ নাগরি।
কুবলয় বেঢ়ি যেন গুঞ্জরে ভ্রমরি।।
ঘন ঘন অঙ্গ ভঙ্গে নাচে নন্দবালা।
মেঘগণ ঘেরি যেন খেলিছে চপলা।।
রক্তকণ্ঠ সুমাধুর্য্য সকল ভূষিত।
দেখিয়া পরমানন্দ পরম পিরিত।।
কেহ শ্রাস্ত হয়ে কৃষ্ণের অঙ্গে ভূজ দিয়ে
মুকত কবরি ভরে রহে দাণ্ডাইয়ে।।
কেহ বা চন্দন বাহু আঘ্রাণের ছলে ।
মনোরঙ্গে ঘন চুম্ব প্রদানে গোপালে।।
সখি গণ্ডে গণ্ড দিয়া নন্দের নন্দন।
গোবিন্দদাস কহে রসিক সুজন।।