দুই করে ধরি অক্রূর-গোহারি
করল নিজহি কোড়।
আলিঙ্গন দিয়া শ্রীঅঙ্গ স্পর্শিয়া
সুখের নাহিক ওর।।
শ্রীঅঙ্গ-পরশে প্রেমের আবেশে
উঠল অক্রূর রায়।
ভোজন-অবশেষ যে কিছু আছিল
পাওল আনন্দে তায়।।
রথ চালাইয়া মথুরার মুখে
যমুনা হইল পার।
মথুরা-নগর প্রবেশিল গিয়ে
রসের আনন্দ সার।।
শিঙ্গা মুরলির গানে উতরোল
মথুরা-নগর-ধ্বনি।
নগরের লোক বাহির হইয়া
দেখয়ে গোকুলমণি।।
মথুরা-নাগরী নয়ন পসারি
দেখে রামহলধরে।
একক্ষণে কেহ নাহিক পালটে
নিমিখ নাহিক ধরে।।
“বিধি দিয়াছেন যুগল নয়ন
ইহাতে দেখিব কত।
তবে সে দেখিথু নয়ান ভরিয়া
এ লাখ নয়ান হত।।”
আপনা আপনি মথুরা-নাগরী
অভিমান করে অতি।
চণ্ডীদাস কহে – “কলার অংশ
তাহার রূপের কতি।।”