তৈখনে দেখল আর অপরূপ
তমাল তরুর গাছে।
সে গাছে কতেক চাঁদ ফলিয়াছে
দেখি অদভুত সাজে।।
কোথা হতে এল এত শশধর
অরুণ সেখানে কেনে।
ময়ূর ফণীতে একত্র দেখিয়ে
কি হেতু ইহার সনে।।”
সখীর বচন শুনিয়া তখন
কহেন কোন বা সখী।
“ও নব তমাল ও নব কিশোরী
তাহাতে বেড়িয়া থাকি।।
ফুলে ফুলে এক দেখ পরতেক
ভুজঙ্গ না হয় এই।
ভুজঙ্গ সমান রাধার বেণী সে
দোলনা হইছে ওই।।
বিধু যত দেখ ও নখ-চন্দ্রক
উপমা গণিব কিসে।”
দুঁহু দুঁহু ওই লখিতে লখই
কহেন এ চণ্ডীদাসে।।