“তুমি হে নিদয়া বড়ি।
সে নব-নাগরী প্রেমের লহরী
কেমনে রয়েছ ছাড়ি ।।
নিশি দিশি রাধা কান্দিয়া বিকল
নয়ানে নাহিক ঘুম।
কারে কিছু ধনী না কহে উত্তর
তিলেক হয়েছে ভ্রম।।
বদন উপর কর আচ্ছাদিয়া
লোরেতে ভরিয়া আঁখি।
অঙ্গের বসন তিতল সকল
আবেশে যে চন্দ্রমুখী।।
গিয়া তরুবরে কদম্ব কুহরে
বসিয়া নবীন রাই।
তা দেখি বিপদ্‌ বাড়িল অন্তর
বিফলে কান্দিয়ে তাই।।
অন্নজল কিছু না চলয়ে তার
সদাই তুহারি ধ্যান।
‘প্রিয়া, প্রিয়া’-বলি কথা রস-কেলি
ক্ষেণে ক্ষেণে হয় জ্ঞান।।
যদি বা তুরিত করহ গমন
তবে সে মানিয়ে ভাল।”
এ কথা শুনিতে রসময় কান
বিরহে হইল ঢল।।
চণ্ডীদাস বলে– “শুন সুনাগর
ঐছন দেখিল রাধা।
তোমার বিরহে সে নব কিশোরী
সোনার বরণ আধা।।”