“তুমি সে আঁখির তারা।
আঁখির নিমেখে কত শতবার
তিলে তিলে হই হারা।।
তোমা হেন ধন অমূল্য রতন
পাইনু কদম্ব-তলে।
বৈস বৈস রাধে কত না বেজেছে
ও রাঙ্গাচরণ-তলে।।
বিষম রবির কিরণ-ছটাতে
মলিন হয়েছে মুখ।
আহা মরি মরি মাথায় পশরা !
কত না পেয়েছ দুখ।।”
আপনার পীত বসন আঁচলে
রাই মুখ মুছে শ্যাম।
বসন-বাতাসে শ্রম দূরে গেল
মিটিল অঙ্গের ঘাম।।
নীপ সে কদম্ব- তরুয়ার তলে
সহচরী গোপীগণে।
রস-সরসিজ সরস বচনে
চাহিয়া শ্যামের পানে।।
বসিয়া বড়াই কহিচেন –“ভাই ,
শুনহ রমণী যত।
প্রেম-রস-দান কর সমাধান
তাহা বা বুঝাব কত।।”
কহিয়া ইঙ্গিতে রহে এক ভিতে
সেই সে চতুর বুড়ি।
উগি দিয়া রহে আনপথে চাহে
পড়িল হাতের বাড়ি।।
কানু করে লই ছেনা দুধ দুই
বদনে ঢালিয়া দেয়।
কার বা বসন \লইল যতন
কার অঙ্গে হার লয়।।
ঐছন কি রীতি ধরিয়া পীরিতি
ধরিয়া রাধার করে।
নীপ তরুবর কদম্বের তলে
বৈঠল নাগরবরে।।
চণ্ডীদাসে বলে — “দুহুঁ রূপখানি
মনেতে লাগিল ভাল।
একুল উকূল যমুনা-কিনার
সকলি করিল আলো।।