“তুমি বিদগধ সুখের সম্পদ্‌
আমার সুখের ঘর।
যে জন শরণ লইল চরণে
তাহারে বাসহ পর।।
দেখি বল নাথ এ ভব সংসারে
আর কি আছয়ে মোরা।
এ গোপী-জনার হৃদয় -মানস
কেবল আঁখির তারা।।
গৃহপতি ত্যজে হা হা মরি লাজে
শুন হে নাগর রায়।
এ সব না জানি মনে নাহি গণি
সকলি গোচর পায়।।
শীতল চরণ যে লয় শরণ
তাহারে এমনি রোষ।
অবলা-বচনে কত খেণে খেণে
কত শত হয় দোষ।।
প্রাণপতি তুমি কি বলিব আমি
আনের অনেক আছে।
আমার কেবল তুমি সে নয়ন
দাঁড়াব কাহার কাছে।।”
চণ্ডীদাস বলে– শুন সুনাগর
ইহাতে নাহিক আন।
সব তেয়াগিয়া তোমার লাগিয়া
তুমি সে সভার প্রাণ।।