তারে দেখি মনে সুখী
এল্যায় মাথার কেশ।
রসিক নাগর রসের সাগর
ব্রাহ্মণের বেশ।।
গলে পাটা ভালে ফোঁটা
কোশাকুশী করে।
ছোট কাছা মোটা কোঁচা
কটি আঁটি পরে।।
লৈয়া পুঁথি হৈয়া যতি
আইলা দেবের ঘরে।
পূজার সজ্জ দেখি দ্বিজ
মন সন্ সন্ করে।।
নিরখি লাড় হরিষ বড়
বোলে বারংবার।
আইস সভে পূজহ দেবে
রৈতে নারি আর।।
হেরি বটু করি চাটু
কহে সুধামুখী।
নাগর পানে চায় সঘনে
বটু কটু দেখি।।
করি যতন ধরি আসন
বটু বসাইলা।
রাইএর সঙ্গী রঙ্গের রঙ্গী
মোদক দেখাইলা।।
অথির জানি বিনোদিনী
মোদক দেলা করে।
আসন বসন ভূষণ দিয়া
বটুবরণ করে।।
ছন্দ ধরি রঙ্গ করি
কহে কুন্দলতা।
ভানুর কোলে কানু খেলে
এই যে ভাল কথা।।
নষ্ট লোকে দুষ্ট কথা
কহিল বুড়ীর কাণে।
রুষ্ট হইয়া দুষ্ট মাগী
আইলা পূজার স্থানে।।
সভে মিলি করে কেলি
বসি পূজার ঘরে।
দেখি বুড়ী শেখর সারি
সভায় সতর করে।।