গোবিন্দ-বচন শুনি কহে কিছু শূলপাণি
কহে কিছু দেব ভগবান্‌।
“তোমার অপার লীলা যার গুণ পশুশিলা
তরু পুলকিত ইহা জান।।
তোমার পীরিতি বহুমূল।
এমন পীরিতিখানি কখন নাহিক শুনি
এবে সে জানিল এতদূর।।
এমন সম্পদ-সুখ বিহি ভেল বৈমুখ
মনে ছিল রাখিব গোপনে ।
তাহার কারণ মোরা করিল অনেক ধারা
এমন বলিয়া কেবা জানে।।
আপনে গোলোক -হরি তাহা প্রীত পান করি
মো সবা হইনু বঞ্চিত।”
প্রভু কহে বেরি বেরি– “শুন ত্রিলোচনধারী,
সব দেবে হইলে বঞ্চিত।।
চল চল সবে মর্ত্ত্যভূমি জনম লভিব আমি
বসুদেব দৈবকী-উদরে ।
লয়া নন্দ যশোমতি গোকুল রাখব তথি
ব্রজলীলা রচিব সুন্দরে।।
আন আন অবতারে নানামৃত লীলাধরে
ব্রজের মহিমা কিছু শুন।
লইয়া বালক সঙ্গে গোধন রাখিব রঙ্গে
রাই দরশন-আশ হেন।।
অন্য অবতার কালে অসুর বধিল হেলে
রসতত্ত্ব না জানিলুঁ কিছু।
অষ্টরস অষ্টগুণে ইহা লাগি আস্বাদনে
আর যত উপরস পিছু।।
প্রধান এই অষ্ট রস ইহাতে জগত বশ
প্রেম প্রীত ইহার মাধুরি।
এই রসতত্ত্বখানি জানে সেই বিনোদিনী”—
চণ্ডীদাস না জানে মাধুরি।।