কুবুজা সুন্দরী অতি মনোহারী
দেখিল আপন অঙ্গ।
ত্রিভঙ্গ আছিল মোহিনী হইল
এ বড়ি রসের রঙ্গ।।
মোহিত হইল নগর সকল
এ কি অদভুত শুনি।
ত্রিভঙ্গ যে ছিল সুন্দরী হইল
এমন নাহিক জানি।।
কুবুজা দেখিতে নগর হইতে
দেখিতে আইল তারা।
নিশ্চয় শুনিল নয়নে দেখিল
এই সে কেমন ধারা।।
কেহ বলে ভাই রথে দুই ভাই
মাখল চন্দন চান্দ।
মালা বিলক্ষণ দেখিল সঘন
দু ভাই হাসল মন্দ।।
হেনক সময় ইহার পরশে
কুজ গেল কতি দূরে।
অতি বিলক্ষণ দেখিল নয়ন
এ কথা কহিব কারে।।
এ নহে মানুষ জানিল স্বরূপ
কেবল জগৎপতি।
ত্রিভঙ্গ শরীর হইল সুন্দর
বুঝল কাজের গতি।।
চণ্ডীদাস বলে যাহার নামেতে
এ তিন ভুবন ঘোষে।
এই ভাগ্যবতী পেয়ে প্রাণপতি
পাইল যাহার স্পর্শে।।