কি লয়ে আইলে তুমি।
এ ঘর করণ দূরে তেয়াগিয়া
জলে প্রবেশিব আমি।।
অন্ধনার নড়ি বাছারে কানায়া
কোথা না রাখিয়ে এলে।
কেমনে বাঁচিব তাহা না দেখিয়া
বড় দুখ মেনে দিলে।।
কোথা হতে এল রাজা কংস-দূত
অক্রূর তাহার নাম।
শমন সমান প্রবেশি গোকুলে
লইল সবার প্রাণ।।
যেমন সোনার পুথলি ধূসর
অবনী উপরে দেখি।
নয়নের জলে তিতিয়া বসন
যমুনা-তরঙ্গ দেখি।।
কেহ কার অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়া
মুদিয়া নয়ন দুটি।
যেমন চামরু তাহার চামর
অবনীমাঝারে লুটি।।
যেমন ধাউল হইয়া বাউল
খাইয়া ব্যাধের শর।
তেমত বিরহ- বাণে তনু জর
না চিনে আপন পর।।
আন বাণ যদি অন্তরে পৈশয়ে
তখনি তেজয়ে তনু।
এ বড়ি বিষম নহে নিবারণ
হিয়ায় পৈশয়ে জনু।।
চণ্ডীদাস বলে কি আর বাঁচিব
এ হেন বিরহ-শরে।
আনল জ্বালিয়া তাহে প্রবেশিয়া
কি ছার জীবন ধরে।।