“কি নাম তোমার বলহ বচন
সুনিয়ে শ্রবণ ভরি।”
পুন সে সরল হইল গরল
সো নব কিশোরি গোরি।।
এই যে আছিল অঙ্গের পুলক
শুনিঞা শ্যামের নাম।
ক্ষেণেক ভৈগেল আর দশা ভেল
কি রস ইহার নাম।।
রসের আরতি কি জানি পিরিতি
রসের উপরে রস।
প্রধান বসতি আট রস তথি
যাহাতে করিল বস।।
তার তর তম ছাপ্পান্ন রসের
তিন সে আছয়ে রিত।
বিপ্রলম্ব সনে এ সব আক্ষান
প্রধান করিয়া মান (?)।।
তবে যে বলিবে কলহান্তরিত
এখানে কিরূপে হয়।
গোচর নহিলে কিরূপে হইল
রসাভাস মাত্র হয়।।
ব্যাসের রচন বেদের বচন
তাহাতে রাখহ মতি।
বৃন্দাবন তেজি পদ নাহি চলে
নাগর আছয়ে ইথি।।
নেতের গোচর না হয়ে গোচর
গোচর দেখিল জবে ।
হরস হইয়া বিরস বদন
বিরহ হইল তবে।।
এ রস বুঝিতে আন সে নারয়ে
ব্যাসের বচন ভাসে।
বিচার করিতে অনেক সকতি
কোন জন বুঝে শেষে।।