কালিয়া বরণ হিরণ পিন্ধন
যখন পড়য়ে মনে।
মুরছি পড়িয়া কাঁপয়ে ধরিয়া
সব সখী জনে জনে।।
কেহ বলে মাই ওঝারে ঝাড়াই
রাইয়েরে পেয়েছে ভৃতা।
কাঁপি কাঁপি উঠে কহিলে না টুটে
সে যে বৃকভানুসূতা।।
রক্ষা-মন্ত্র পড়ে নিজ চুলে ঝাড়ে
কেহ বা কহয়ে ছলে।
”নিশ্চর কহি যে আনি দাও এবে
কালার গলার ফুলে।।
পাইলে সে ফুল চেতন পাইয়া
তবে উঠিবেক বালা।
ভূত প্রেত আদি ঘুরিয়া যাইবে
যাইবে অঙ্গের জ্বালা।।”
কহে চণ্ডীদাসে আন উপদেশে
কুলের বৈরী যে কালা।
দেখাও যতনে পাইবে চেতনে
ঘুচিবে অঙ্গের জ্বালা।।