কালা বইলে দিন ফুরাইল ডুবে আইল বেলা সদায় বলো কালা।
কালা কালা বইলে কেনে হইয়াছ উতালা
গোপনে সে গাঁথে মালা প্রকাশিলে জ্বালা।
ঐ কালা কালা নয় ঐ কালাতে কিবা হয়
কৃষ্ণ কালা বলে কেন ভুলে রইছ, ও ভোলা–সে কালা।
সে কালা তো জন্ম নেয় নাই দৈবকিনীর ঘরে,
ষোলশত গোপিনীর সঙ্গে খেলা না রে করে।
থাকে বৈসে একেলা –চার যুগে তাহার খেলা
কালা যেন গুণমণি হাতে চৌদ্দ তালা, সে কালা।।
মথুরাতে কৃষ্ণ কালা অর্জুনেরও হয় শালা,
আবার সুভদ্রা ভগ্নী তাহার–অভিমন্যু তাহার পোলা।
দেখরে কেমন জ্বালা, মিছে কেন বলো কালা–
কালার ঘরে বাতি জ্বলে অন্ধকারে উজলা সে কালা।।
ফকির লালন বলে, মায়ার জালে বুঝি আমার প্রাণও যায়,
আমি চার যুগ ভরে বেড়াই ঘুরে দেখি সেই কালা দয়াময়।
সে তো রে নিষ্ঠুর কালা, নাইকো তার বিচ্ছেদ জ্বালা,
আবার চক্ষু বুঁজে জপমালা নাম ‘লা শরিকাল্লা’ সে কালা।।