কাতরা অধিকা দেখিয়া রাধিকা
বিশাখা কহিল তায়।
চিতে এত ধনী ব্যাকুল হইলে
ধরম সরম যায়।।
ধনি, কহব তোমার ঠাঁই।
পরকীয়া রস করিতে হে বশ
অধিক চাতুরী চাই।।
যাইবি দক্ষিণে থাকিবি পশ্চিমে
বলিবি পূরবমুখে।
গোপন পীরিতি গোপনে রাখিবি
থাকিবি মনের সুখে।।
গোপন পীরিতি গোপনে রাখিবি
সাধিবি মনের কাজ।
সাপের মুখেতে ভেকেরে নাচাবি
তবে ত রসিকরাজ।।
যে জন চতুর সুমেরু-শিখর
সূতায় গাঁথিতে পারে।
মাকসার জালে মাতঙ্গ বাঁধিলে
এ রস মিলয়ে তারে।।
পীরিতি যা সনে আদর সে ধনে
সতত না লবি ঘর।
অন্তরে পরাণ বাঁটিয়া দেওবি
বাহিরে বাচিবি পর।।
বেদ বেদান্তর না করিবি বিচার
না লৈবি বেদে বিরস।
হইবি সতী না হবি অসতী
না হইবি কাহার বশ।।
হইবি কুলটা কুল ত্যজিবি
ভাবিতে ভাবিতে দেহা।
হেরি পরপতি হেমকান্তি রতি
সপতি ভাবিবি লেহা।।
কলঙ্ক-সাগরে সিনান করিবি
এলাইয়া মাথার কেশ।
নীরে না ভিজিবি জল না ছুইবি
সম দুখ সুখ ক্লেশ।।
কহে চণ্ডীদাসে বাশুলী আদেশে
বাশুলী-চরণে পড়ি।
হইবি গিরি ব্যঞ্জন বাঁটিবি
না ছুঁইবি হাঁড়ি।।