“আমার কিশোরী কিছু না জানয়ে
বঞ্চিব কেমন করি।
সব পাসরিয়া চলিলা ছাড়িয়া
আঁধার গোকুল-পুরী।।
এ নব যৌবন কুলের কামিনী
রমণী এ রস-বালা ।
কোথা রাখি লেহ বাঁচাইয়া যাহ
দিয়া যাহ এত জ্বালা।।
কি করিব আর রস পরিপূর
নিবিড় রসের প্রেম।
তা ত্যজ এমন নবীন কিশোরী
যেন লাখবান হেম।।
তেজিয়া গোকুল- নাগরী সকল
মথুরা গমন এবে।
তা সবা তোমার মনেতে পড়িল
সে নব কৈশোর-লোভে।।
নিঠুর না হও, এ গোপ গোপিনী
মরিব তোমা না দেখি।
স্ত্রী-বধ-পাতকী ভয় না গণহ
শুনহ কমল-আঁখি ।।
যে জনা না জীয়ে যাঁহা না দেখিলে
কেমনে জীবই সে।”
চণ্ডীদাস বলে– “কাতর হইয়া
এ কথা জানয়ে কে।।”