১0 – দধি দুধেঁ পসার সজাআঁ

দধি দুধেঁ পসার সজাআঁ। নেত বাস ও[৬/১]হাড়ন দিআঁ।। ল রাধা।।
সব সখিজন মেলি রঙ্গে। একচিত্তে বড়ায়ির সঙ্গে।। ল রাধা।। ১
নিতি জাএ সর্ব্বাঙ্গসুন্দরী। বনপথে মথুরা নগরী।। ল রাধা।।ধ্রু
এক দিনে মনের উল্লাসে। সখি সমে রস পরিহাসে।।
আগু গেলি সত্বর গমনে। বড়ায়িক না করী যতনে।। ২
বকুলতলাত গোআলী। বড়ায়ির পন্থ নেহালী।।
বসিলী মাথাত দিআঁ হাথে। বড়ায়ি চলিলী আন পথে।। ৩
রাধিকা গুণিআঁ মনে মনে। বড়াইর বিলম্ব কারণে।।
বন মাঝেঁ পাইল তরাসে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪

গুজ্জরীরাগ ।। একতালী ।।

১১ – রাধিকা হারাআঁ বড়ায়ি

রাধিকা হারাআঁ বড়ায়ি বুলে থানে থানে। ভালমনে পথক না দেখে নয়নে।।
নাতিনীর মোহে বড়ায়ি মনে বিমরিষে। কমন উপায় করোঁ জাওঁ কোণ দিশে।। ১
পথ হারাইল বড়ায়ি মাঝ বৃন্দাবনে। দৈবে সে জাণএ যার যেহেন ঘটনে।।ধ্রু
মনেত গুণেত বড়ায়ি আধিক তরাসে। কথাঁ গিআঁ পাওঁ মোএঁ রাধার উদ্দেশে।।
একসরী হৈলোঁ মোএঁ হেন ঘোর বনে। রাধিকা এড়িআঁ আজি জীবোঁ কেনমনে ।। ২
কথো দূর পথ গিআঁ দেখিল বড়ায়ি। বৃন্দাবন মাঝে চরে শতসংখ্য গাই।।
তাক দেখি বড়ায়ির মনেত হরিষে। এহা রাখোআল পুছোঁ রাধার উদ্দেশে।। ৩
হেন মনে গুণী বড়ায়ি গেলান্তি তথাঞিঁ।
দেখিল লগুড় করে নাতিআ কাহ্নাঞিঁ।।
হরিষে মেলিলী বড়ায়ি তাহার পাশে। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে।। ৪

পাহাড়ীআরাগ ।। ক্রীড়া ।।

১২ – আচম্বিত বুঢ়ী দেখি

আচম্বিত বুঢ়ী দেখি বৃন্দাবন মাঝে। বিনয় করিআঁ পুছন্তি দেবরাজে।। ১
কথাঁ হৈতেঁ আইলা তোহ্মে কিবা তোর কাজে।
একলী বুলসি কেহ্নে বৃন্দাবন মাঝে।। ২
গোঠে হৈতেঁ আসি আহ্মি বুঢ়ী গোআলিনী।
আগুত চলিলী মোর সুন্দরী নাতিনী।। ৩
পাথে পাছে জাইতেঁ পথ রাহাইল আহ্মি। মথুরার পথ পুতা কহিআঁ দেহ তুহ্মি।। ৪
সঙ্গে কেহ্নে লআঁ বুল নাতিনিখানী। কথাঁ তাক হারাইলেঁ কহ তত্ববাণী।। ৫
কি নাম তাহার কেহেন তার রূপ। আহ্মার থানত বুঢ়ী কহিআর সরূপ।। ৬
দধি দিবে জাইতেঁ সঙ্গে মথুরা নগরী। বৃন্দাবনে হারাইল ত্রৈলোক্যসুন্দরী।। ৭
নাতিনী হারাইলোঁ নামে চন্দ্রাবলী। কোঁআলী পাতলী বালী সুন বনমালী।। ৮
সরূপ কহিবোঁ তবেঁ মথুরার পথ। যে কাজ বোলোঁ তোহ্মাক তাত কর সত।। ৯
বোলা এক বোলোঁ তোক যবেঁ ধর মনে। তবেঁসি করিবোঁ তোর রাধা দরশনে।। ১০
তোঁ মোর নাতি যেহ্ন দুঅজ পরাণ। তোহ্মার বোলত আহ্মে না করিব আন।। ১১
সত্যেঁ সত্যেঁ করিবোঁ মো তোহ্মার বচন। যবেঁ আন করোঁ তাক বধওঁ বাহ্মণ।। ১২
উদ্দেশ বুলিব যবেঁ রাধিকার আহ্মে। তবেঁ ভালমতেঁ তার রূপ কহ তোহ্মে।। ১৩
কাহ্নের বচনে বড়ায়ি পাইল হরিষে। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে।। ১৪

পাহাড়ীআরাগ ।। একতালী ।। চিত্রক লগনী ।।

১৩ – কেশপাশেঁ শোভে তার

কেশপাশেঁ শোভে তার সুরঙ্গ সিন্দূর। সজল জলদে যেহ্ন উইল নব সূর।।
কনককমলরুচি বিমল বদনে। দেখি লাজে গেলা চান্দ দুঈ লাখ যোজনে।। ১
মুনিমনমোহিনী রমণী আনুপামা। পদুমিনী আহ্মার নাতিনী রাধানামা।। ধ্রু
ললিত আলকপাতিঁকাতিঁ দেখি লাজে। তমালকলিকাকুল রহে বনমাঝে।।
আলস লোচন দেখি কাজলে উজল। জলে পসি তপ করে নীল উপতল।। ২
কণ্ঠদেশ দেখিআঁ শঙ্খত ভৈল লাজে। সত্বরে পসিলা সাগরের জল মাঝে।।
কুচযুগ দেখি তার আতি মনোহরে। আভিমান পাআঁ পাকা দাড়িম বিদরে।। ৩
মাঝা খিনী গুরুতর বিপুল নিতম্বে। মত্ত রাজহংস জিণী চলএ বিলম্বে।।
দিনে দিনে বাঢ়ে তার নহুলী যৌবন। গাইল বড়ু চণ্ডীদাস বাসলীগণ।। ৪

গুজ্জরীরাগ ।। রূপক ।।

১৪ – তোর মুখে রাধিকার রূপকথা সুনী

তোর মুখে রাধিকার রূপকথা সুনী। ধরিবাক না পারোঁ পরাণী।। বড়ায়ি ল।।
দারুন কুসুমশর সুদৃঢ় সন্ধানে। আতিশয় মোর মন হানে।। বড়ায়ি ল।। ১
পরাণ আধিক বড়ায়ি বোলোঁ মো তোহ্মারে। রাধিকা মানাআঁ দেহ মোরে।। ধ্রু
কুসুমিত তরুগণ বসন্ত সমএ। তাত মধুকর মধু পীএ।।
সুসর পঞ্চমশর গাএ পিকগণে। তেকারণে থীর নহে মনে।। ২
আতিশয় বাঢ়ে মোর মদনবিকার। তাত কর মোর উপকার।।
এ থানক আইলা বড়ায়ি আহ্মার ভাগে। মোর কাজ তোহ্মাত লাগে।। ৩
একবার মোর তোহ্মে কর উপকার। আহ্মে দেব সংসারের সার।।
রাধিকা মানাআঁ বড়ায়ি পুর মোর আশ। বাসলী বন্দী গাইল চণ্ডীদাস।। ৪

দেশাগরাগ ।। রূপক ।। অথবা কানড়া ।। যতি ।।

১৫ – আহ্মে তোর বড়ায়ি তোহ্মে

আহ্মে তোর বড়ায়ি তোহ্মে মোর নাতী। চিন্তিবোঁ তোহ্মার হিত পরাণশকতী।।
তোহ্মার আন্তরে তাক করিবোঁ শকতী। আয়র মানায়িবোঁ কঁরী আশেষ যুগতী।। ১
বোলহ সুন্দর কাহ্ন রাধার উদ্দেশে। তথাঁ গেলেঁ তোর কাজ সাধিবোঁ হরিষে।। ধ্রু
এ সব কাজের আহ্মে জাণিএ প্রবন্ধ। এতেকেঁ তোহ্মার তার হৈব নেহাবন্ধ।।
পরাণ দিবাক পারোঁ তোহ্মার বচনে। এ কাজ সাধিব আহ্মে করিআঁ যতনে।। ২
আযোড় যোড়ন আহ্মে করিবাক পারী। সে কি রাধিকা ভৈলী সীতা সতী নারী।।
আহ্মার হাথত দেহ কিছু ফুল পানে। তাক লআঁ জাই আহ্মে রাধিকার থানে।। ৩
বিলম্ব না কর বোল রাধার উদ্দেশে। আর কিছু দেহ কাহ্নাইঁ উত্তম সন্দেশে।।
ঝাঁট করী জাই আহ্মে রাধার উদ্দেশে। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে।। ৪

আহেররাগ ।। লঘুশেখর ।।

১৬ – রাধার উদ্দেশ বোলোঁ চিন্তিআঁ মণে

রাধার উদ্দেশ বোলোঁ চিন্তিআঁ মণে। হৃদয়ে রাখিহ বড়ায়ি আহ্মার বচনে।।
রাধার কারণে ভৈলোঁ উদগমতী। ভালমতেঁ কহ বড়ায়ি তার থান গতী।।১
তাম্বূল লইআঁ যাহা পরাণের দূতী। বকুলতলাত আছে সে সুন্দরী সতী।। ল।। ধ্রু
চাম্পা নাগেশর আর নেআলী মাহ্লী। ফুলে তাম্বূলে ভরি লআঁ যাহা ডালী।।
ফুল পিন্ধিলে সে খাইবে তাম্বূল। তবেঁসি কহিহ সব কথা আদিমূল।। ২
যোড়হাত করী তাক বুলিহ বচনে। আহ্মাকে পাঠায়িলে রাধা নান্দের নন্দনে।।
কর্পুরবাসিত রাধা খাহ তাম্বূল। কাহ্নাঞিঁর বচনে তোহ্মে দেহ আনুকূল।। ৩
চঞ্চল নয়ন তোর সিসতে সিন্দূর। বাহুত বলয়া শোভে পাএত নুপূর।।
চলিতেঁ চলিতেঁ তোর রুণুঝণু বাজে। মোর মুখে সুণী মোহো গেলা দেবরাজে।। ৪
আহ্মে বড়ায়ি তোর মরমের হীত। আহ্মার বচনে রাধা দেহ তোহ্মে চীত।।
আনুমতী কর রাধা হরিষবদনে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাস বাসলীগণে।। ৫

রামগিরীরাগ ।। রূপকং ।।

১৭ – শুভ তিথি বার শুভক্ষণে

শুভ তিথি বার শুভক্ষণে। আল। আতিশয় উল্লসিত মণে।। ল বড়ায়ি।।
বন্দিআঁ সব দেবগণে। আল। বড়ায়ি শ্রীরামচরণে।। ১
মনে ধরি কাহ্নাঞিঁর বচনে। আল। চলি ভৈল রাধিকার থানে।। ল ।। ধ্রু
চাম্পা নাগেশর নেআলী। আঅর গান্থিআঁ নৈল মাহ্লী।।
সজাইল আনেক যতনে। মাথে নৈল করপূর পানে।। ২
চারি পাশে চাহী বৃন্দাবনে। পাইল রাধার দরশনে।।
আতি নেহেঁ করিআঁ চুম্বনে। ঘন ঘন কৈল আলিঙ্গনে।। ৩
কুশলে কি আছহ নাতিনী। রাধিকারে পুছিআঁ কাহিণী।।
বসিলান্ত রাধার পাশে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪

ধানুষীরাগ ।। রূপকং ।।

১৮ – তোহ্মে মোর বড়ায়ি মো

তোহ্মে মোর বড়ায়ি মো তোহ্মার নাতিনী।।
আহ্মা এড়ি কেনমতেঁ ধরিলেঁ পরাণী।। ১
তোহ্মাকে না দেখি রাধা পোড়ে মোর মন।
ভাগে পুনে আজি তোর পাইলোঁ দরশন।। ২
এতেক বিলম্ব বড়ায়ি কমণ কারণে।
সরূপেঁ কাহিনী বড়ায়ি কহ মোর থানে।। ৩
সরূপ কহওঁ যবেঁ হওসি সদয়।
আপণার মুখে মোকে দিআর আভয়।। ৪
আপণার মুখে বড়ায়ি কহ তোঁ উত্তর।
আহ্মার থানত তোর নাহিঁ কিছ ডর।। ৫
বুলিতেঁ লাগিলী বড়ায়ি চিত্তের হরিষে।
বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে।। ৬

মালবরাগ ।। লগনী ।। কুড়ুক ।।

১৯ – ডালি ভরাআঁ ফুল পানে

রাধে ।। ডালি ভরাআঁ ফুল পানে। তোরে পাঠাআঁ দিল কাহ্নে।।
আহ্মার বচন না কর গোআলিনী আনে।
কর্পুরবাসিত তাম্বূলে।। আর।। কস্তুরী ভরাআঁ কপোলে।।
[ইহার পর ৯-এর পাতা নাই]

রামগিরীরাগ ।। রূপক ।।

২0 – যবেঁ রাধা না করিবে নেহে

যবেঁ রাধা না করিবে নেহে। তবেঁ রাধা হৈব তোর জীবন সন্দেহে।।
এতেক বুলিআঁ ভার না পাইলোঁ আশ। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাস।।৪

২১ – তোর মুখে সুণী রাধিকার

তোর মুখে সুণী রাধিকার রূপ আওর নব যৌবনে।
আহোনিশি দহে সকল পরাণ আর থীর নহে মনে।।
এড়িলোঁ ঘরের আশ ল বড়ায়ি কহিলোঁ তোর চরণে।
মতি হারাইলোঁ বুলিতেঁ না জাণো ভইলোঁ তোর সরণে।। ১
না বোল না বোল নিরাস বড়ায়ি আপণে চিন্ত উপাএ।
রাধার বচন না পাইলেঁ বড়ায়ি কাহ্নাইর প্রাণ জাএ।। ধ্রু
আহ্মার বচন ধর ল বড়ায়ি মনে না করিহ হেলা।
দুসহ বিরহ সাগরে বড়ায়ি তোহ্মেসি আহ্মার ভেলা।।
আজি হৈতেঁ বড়ায়ি দেব বনমালী তোহ্মার ভয়িলা দাসে।
এহা যানি বড়ায়ি করহ যতন চলহ রাধার পাশে।। ২
বিথর দেখিলেঁ বিথর শুণিলেঁ বিথর তোর বএসে।
এতেকেঁ এ সব কাজের প্রকার জাণহ আশেষে বিশেষে।।
নানাবিধ কথা কহিআঁ বড়ায়ি রাধারে করহ মিনতী।
মোর একবার কর উপকার খণ্ডূক রাধার বিমতী।। ৩
পুনরপি যাহা প্রাণের বড়ায়ি তাম্বূলেঁ ভরাআঁ ডালী।
মিনতী করিআঁ হাথেত ধরিআঁ আন গিআঁ চন্দ্রাবলী।।
আহ্মার বচনে বোলহ রাধারে কাহ্নের পুরুক আশে।
বাসলীচরণ শিরে বন্দীআঁ গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪
পাহাড়ীআরাগ ।। ক্রীড়া ।।

কৃষ্ণেন রসতৃষ্ণেন দত্তং বাসোযুতং পুনঃ।
তাম্বূলং সোপকরণং রাধায়ৈ জরতী দদৌ।।

২২ – কথা খানি খানি কহিল বড়ায়ি

কথা খানি খানি কহিল বড়ায়ি বসিআঁ রাধার পাশে।
কর্পূর তাম্বূল দিআঁ রাধাক বিমুখ বদনে হাসে।। ল বড়ায়ি।। ১
কহির কপুর তাম্বূল বড়ায়ি কহির নেত পাটোল।
নেআলী মাহ্লী আওর নানা ফুল কে দিআঁ পাঠাইলে মোর ।। ল বড়ায়ি।। ২
আইস রাধা কহোঁ তোহ্মারে কৃষ্ণের পাঁচ আবথা।
বিরহ জরেঁ তেহেঁ জরিলা পাঠাইল তোহ্মা বেথাঁ ।। ল রাধা।। ৩
এ বোল সুণিআঁ নাগরী রাধা হাণএ সকল গাএ।
যত নানা ফুল পান করপুর সব পেলাইল পাএ।।৪
উঠিআঁ বড়ায়ি রাধাক বুইল হেন কাম না করিএ।
নান্দের নন্দন ভুবন বন্দন তোর দরশনে জীএ।।৫
ঘরের সামী মোর সর্ব্বাঙ্গে সুন্দর আছে সুলক্ষণ দেহা।
নান্দের ঘরের গরু রাখোআল তা সমে কি মোর নেহা।।৬
যে দেব স্মরণে পাপ বিমোচনে দেখিল হএ মুকতী।
সে দেব সনে নেহা বাঢ়াইলেঁ হএ বিষ্ণুপরে স্থিতী।। ৭
ধিক জাঊ নারীর জীবন দহেঁ পসূ তার পতী।
পর পুরুষের নেহাএঁ যাহার বিষ্ণুপরে স্থিতী।। ৮
নাগর শেখর নান্দের সুন্দর উপেখিল মতিমোষে।
বাসলীচরণ শি বন্দিআঁ গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৯

পাহাড়ীআরগ ।। ক্রীড়া ।। লগনী প্রকীণ্ণক ।।

২৩ – আহ্মার কোমল দেহে

আহ্মার কোমল দেহে। না জাণো দূতী পরপুরুষের নেহে।।
সরূপেঁ তোরে কহিলোঁ। আল হের প্রতিজ্ঞা করিলোঁ।
প্রথম যৌবন মোএঁ বঞ্চিলোঁ ।। ১
না বোল না বোল দূতী নাএ। আবালী রাধা নহোঁ সুরতী যোগে।। ধ্রু
পান আনি নিজ দোষে। ফল পাইবেঁ মোর রোষে।
ধূর্ত্ত কাহ্নাই না বুঝে সে মতিমোষে।।
ক্ষেমা করু কাহ্ন মণে। ধরুক মোর বচনে।
যবেঁ না মরিবে রাধার সলির কারণে।। ২
না বুঝোঁ রঙ্গ ধামালী। না জাণো সুরতী কেলী।
বাহুড়িআঁ চল সে নিষধ বনমালী।।
জৈসাণে রতি জাণবোঁ। তেসাণে কাহ্ন আণিবোঁ।
সুরতী সম্ভোগে সকল রাতী পোহাইবোঁ।। ৩
দেখি তোহ্মাক আজলী। পর কাজে তোঁ বিকলী।
তেঁসি না বুঝসি আহ্মে বালী।।
বোল গিআঁ কাহ্ন পাশে। ছাড়ু সুরতী আশে।
গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪
কোড়ারাগ ।। রূপক ।।
নিপীয় রাধাবচনং ততো বচনপণ্ডিতা।
জবেন জরতী গত্বা জগাদ মধুসূদনং।।

২৪ – লবলীদল কোঁমল আহ্মার দেহে

লবলীদল কোঁমল আহ্মার দেহে। এবেঁ নাহিঁ সহে পর পুরুষের নেহে।।
নিষধ নিষধ বড়ায়ি নান্দের নন্দন। তার পতি যোগ নহে আহ্মার যৌবন।। ১
আতি আছিদরী রাধা ল। মোকে বোলে হেন বাণী।
এবেঁ তাক কি বুলিবোঁ বোল চক্রপাণী।। ধ্রু
মিছাই আণিলেঁ বড়ায়ি তার ফুল পানে। পরাক লাগিআঁ সে হারাইবে নাক কানে।।
মতিমোষে কাহ্ন পাঠাআঁ দিলে তোরে। তোহ্মে কেহ্নে সে বোল বোলহ আহ্মারে।। ২
সুরতি জাণিলেঁ বড়ায়ি পাঠাইবোঁ তোরে। বৃন্দাবন মাঝেঁ আনাইবোঁ দামোদরে।।
তবেঁ হৈবে তার সমে মোর দরশনে। তোষিব তাহাক আহ্মে সংপূণ্ণ যৌবনে।। ৩
না কর কাকুতী বড়ায়ি নাহিঁ লঅ গালী। ভালমতেঁ বোধাহ আবুধ বনমালী।।
হেন বুলি তোকে রাধা না দিলেক আশ। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাস।। ৪
কোড়রাগ ।। যতি ।।

২৫ – আজি রজনীত বড়ায়ি দেখিলোঁ সপনে

আজি রজনীত বড়ায়ি দেখিলোঁ সপনে। রাধা সিআঁ বসিলী শয়নে।। বড়ায়ি ল।।
তখনে হৃদয়ে মোর বেধিল মদনে। বুইলোঁ পরিহাস বচনে।। বড়ায়ি ল।। ১
না জীবোঁ না জীবোঁ বিণি রাধা দরশনে। সরূপেঁ কহিলোঁ তোর থানে।। ধ্রু
নীল জলদ সম চিকণ চিকুরে। বদন সংপুন শশধরে।।
বচন ঝরএ তার আমৃতের ধার। তাক বড় লোভ আহ্মার।। ২
হাথ দিআঁ দেখ বড়ায়ি মোর কলেবরে। জত বড় উপজিল জরে।।
এত দুখ বড়ায়ি মোর পরাণ না সহে। মরোঁ হের রাধার বিরহে।। ৩
বারেক করাহ যবেঁ রাধা দরশনে। তবেঁ রহে আহ্মার জীবনে।।
এহা জাণী ঝাঁট চল রাধিকার পাশে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪
দেশাগরাগঃ।। যতি।।

রাধানিহতচিত্তস্য কৃষ্ণস্য বচনাদরং।
সাদরং জরতী প্রাহ গত্বা রাধামিদং বচঃ।।

২৬ – নিশিত সপন দেখিল জগন্নাথ

নিশিত সপন দেখিল জগন্নাথ। শুন চন্দ্রাবলী তোর বুকে দিল হাথ।।
কনকপদ্মকোরক সম দুঈ তনে। পরসি বিকল ভৈল দুসহ মদনে।। ১
নারেবড় কাহ্নাআঁ পাঠাইআঁ দিল মোরে।
মরে ভাল জীএ ভাল জাণাইলোঁ তোরে।। ধ্রু
তোহ্মে ত গোআলী রাধা বড়ই আবুধী। আপণার দোষে হৈবেঁ পুরুষবধী।।
তোহ্মাক না পাআঁ কাহ্ন হিলা আচেতনে।
স্বরূপেঁ জীএ কাহ্নাঞিঁ তোর আলিঙ্গনে।। ২
মনে গুণী দেখ রাধা আপনার হীত। বারেক কাহ্নের কর সরস চীত।।
কিসক যৌবন রাধা করহ নিফল। কাহ্ন সমে রঙ্গে কর জীবন সফল।। ৩
বারেক রাখহ রাধা কাহ্নের জীবন। আপনার কর পাপ সাগরে মোচন।।
বচনেক দেহ রাধা কাহ্নাইক আশ। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাস।। ৪
বেলাবলীরাগ ।। যতি ।।

২৭- এত কালে বুঢ়ী তোর কেহ্নে হেন মন

এত কালে বুঢ়ী তোর কেহ্নে হেন মন। ভাল বুলিবে তোরে শুণী কোন জন।।
আদি আন্ত এখো বোল না বোলসি ভাল। মারিবোঁ পরাণে তোকে জাণাআঁ গোআল।। ১
দারুণী বুঢ়ী তোর বাপেত নাহিঁ লাজ। তেকারণে মোক বোলসি হেন কাজ।। ল।। ধ্রু
বার বার না বুলিহ হেনক উত্তর। সামী দুরুবার মোর নহোঁ সতন্তর।।
মো যবেঁ জাণোঁ তোর হেন দুষ্ট মতী। তবেঁ কেহ্নে আসিবোঁ মো তোহ্মার সংহতী।। ২
তোঁ মোর বড়ায়ি মোঁ তোর নাতিনী। এবেঁসি তোহ্মার মুখে শুণী হেন বাণী।।
আর যবেঁ বোল মোরে হেন পরিহাস। আবসি করিবোঁ তবেঁ তোহ্মার বিনাশ।। ৩
এহা গুআ পান তোহ্মে আপণেই খাহা। আপণাক চিহ্নিআঁ কাহ্নের থান যাহা।।
এহা বুলী বড়ায়িক চড়ে মাইল রোষে। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে।। ৪
রামগিরীরাগ ।। রূপক ।।

নিপীয় রাধাবচনং ততো বচনপণ্ডিতা।
জবেন জরতী গত্বা জগাদ মধুসূদনং।।

২৮ – কোপেঁ কভোঁ মোকে হাথেঁ

কোপেঁ কভোঁ মোকে হাথেঁ না ছইল সামী।
গালিহো সাসুড়ী স্থানে না পাইল আহ্মী।।
তোহ্মার কারণে কাহ্নাঞিঁ এতেক বএসে।
বড় আপমান পাইলোঁ এবেঁ খাইবোঁ বিসে।। ১
না থাকিব তোর থানে জাইব আহ্মে রোষে।
কাহ্নাঞিঁ ল আহ্মে তোহ্মার দোষে।। ধ্রু
আনেক প্রকারেঁ চিন্তিলোঁ তোর হীত।
তবেঁহো আধিক রাধা বুইলেঁ বিপরীত।।
সেসি গুণী কাহ্নাঞিঁ দহে মোর চীত।
তোহ্মার দেহত কাহ্নাঞিঁ না বসে কি পীত।। ২
আনেক জনের কাজেঁ গেলোঁ নানা থানে।
সব নারী জনে মোর করিল সম্মানে।।
তোহ্মার আন্তরেঁ গেলোঁ রাধিকার থানে।
পাএ পেলাইল রাধা তোর গুআ পানে।। ৩
আর যত বুইল রাধা গরল বচনে।
তার প্রতিকার যবেঁ না কর আপণে।।
তবেঁ লোক শুণিআঁ করিব উপহাস।
বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাস।। ৪
গুজ্জরীরাগ ।। যতি ।।

২৯ – দূতী আপরাধ কৈল

আল। দূতী আপরাধ কৈল। আহ্মারে কেহ্নে না বুইল।
দূতী মারিআঁ কমণ কাজ সাধীল।।
আল। বড়ায়ির বোল প্রমাণে। আল সাধিব আপণ মানে।। ১
আল। যে মোর দূতী মাইল না ল।
নিজ দোষে সে পাইবে আতি বড় দুখে।। ধ্রু
রাম কাজে হনুমন্তা। তেহেন আহ্মার দূতা।
ভাঁগিল নেহা পুনী যোড়াইতেঁ শকতা।।
যে থানে শুঁচী না জাএ। তথাঁ বাটিআ বহাএ।
সেহি দূতা মোর কোণ কাজেঁ চড় খাএ।। ২
দূতা পাঠাইবোঁ মোঁএ কীষে।
হাথে তুলী মোঁ খাইলোঁ বীষে।
মোর দূতী চড় খাইলে হেন বএসে।।
যথাঁ দূতা মোর জাএ। তথাঁ পরসাদ পাএ।
অসংঘট কাজ পুন সংঘট করাএ।। ৩
সকল গোঠ মেলাইবোঁ। বড়ায়িক খীর যোগাইবোঁ।
ঘরত রাখিআঁ বড়ায়ির সেবা করিবোঁ।।
বড়ায়ির করিআঁ তোষে। খণ্ডাইবোঁ আপণ দোষে।
বাসলী বন্দিআঁ গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪
কোড়ারাগ ।। ক্রীড়া ।।

৩0 – তোহ্মার আন্তরেঁ কাহ্নাঞিঁ

তোহ্মার আন্তরেঁ কাহ্নাঞিঁ করিলোঁ যতন।
আনেক প্রকারেঁ তাক বুলিলোঁ বচনে।।
তাহাত মুগধী রাধা না পাতিল কানে। পাএ পেলাইল তোর সব গুআ পানে।। ১
কাহাঞিঁ।।
চড়েঁ মাইলে রাধা মোরে দেখ বিদ্যমানে। এত আপমান সহে কাহার পরাণে।। ধ্রু
আওর বুইল তোক যত বীরদাপ। তাক সোঁঅরিতেঁ মোর মনে বাঢ়ে তাপ।।
এখোহি না রাখিলেক তোর মাঅ বাপ। কোপেঁ গরজিলী রাধা যেন কালসাপ।। ২
তীন ভুবনে নাহিঁ হেন আছিদরী। হালে ফুলে এখো নাহিঁ পাটাবুকী তিরী।।
তোহ্মার কারণে মোরে যত দিল দুখ। পালটি না দেখোঁ আর তাহার মুখ।। ৩
নিতি নিতি দধি বিকে মুথরাক জাএ। তাক দুখ দিতেঁ কিছ চিন্তহ উপাএ।।
তবেঁসি মনের মোর দুখ পালাএ। বাসলী শিরে বন্দী চণ্ডীদাস গাএ ।। ৪
বরাড়ীরাগ ।। রূপক ।।

৩১ – কদমের তলে বসী যমুনার তীরে

বড়ায়ি ল। কদমের তলে বসী যমুনার তীরে দান ছলেঁ রাখিবোঁ রাধারে।
বড়ায়ি ল।
লুড়িআঁ সব পসার খাইবোঁ দধি তাহার কাঢ়ী লৈবোঁ সাতেসরী হারে।। ১
বড়ায়ি ল।
বাটেত সৃজিআঁ দান করি তার আপমান তোর মোর সাধিব মান।। ধ্রু
বড়ালি ল।
ধরিহ মোর যুগতী রাধার হআঁ সংহতী চলি জাইহ মথুরার হাটে।
আহ্মাক রুষ্ট বচনে তোষিহ রাধার মনে আহ্মে যবেঁ রোধিব বাটে।। ২
ছাড়াইবোঁ তার ক্ষীর কাঞ্চুলী করিবোঁ চীর হাথ দিবোঁ তাহার তনে।
তোর আনুমতী লআঁ বলে রাধাক ধরিআঁ লআঁ যাইবোঁ মাঝ বৃন্দাবনে।। ৩
পাছেত মদনবাণে হাণিআঁ তাক পরাণে রহিবোঁ ধরি মুনিবেশে।
বসি তোহ্মে তার পাশে করিহলি উপহাসে গাইল বড়ু চণ্ডীদাসে।। ৪

দেশাগরাগ ।।রূপক ।।

আধায় সাদরং চিত্তে দামোদরসমীহিতং।
মধুরং রাধিকামাহ বৃদ্ধা কপটকোবিদা।।

৩২ – কপটেঁ কহিল বড়ায়ি রাধিকার থানে

কপটেঁ কহিল বড়ায়ি রাধিকার থানে। তোহ্মার বচনে আহ্মে নিবারিল কাহ্নে।।
বিমতী তেজিআঁ কাহ্নাঞিঁ গেল নিজ ঘর। চল ঝাঁট জাই বিকে মথুরা নগর।। ১
সব গোপী লআঁ রাধা করি বিমরিষে।
মথুরার হাট জাইঊ চিত্তের হরিষে।। গো ।। ধ্রু
বড়ায়ির বচন শুণী হরষিত মনে। যুগতি করিল লআঁ সব গোপীগণে।।
মথুরা চলিলী রাধা বড়ায়ির সঙ্গে। সখিগণ সমে নানা কথা পরসঙ্গে।। ২
রাধা লআঁ দধি দুধ বিকণিআঁ হাটে। ঘরক আইলী বড়ায়ি আতি বড় ঝাঁটে।।
ঈসত হাসিআঁ বড়ায়ি মধুর বচনে। আশেষ প্রকার করি তোষিল আইহনে।। ৩
হেমমতে নিতি নিতি মথুরা নগরে। দধি দুধ বিকণিআঁ রাধা আইসে ঘরে।।
কৌড়ী আণিআঁ দেএ সাসুড়ীর থানে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাস বাসলীগণে।। ৪
রামগিরীরাগ ।। রূপক ।।

কালক্ষেপাসহঃ শুচি রাধামাধায় মাধবঃ।
উপেত্য জরতীমাহ মনোজশরকাতরঃ।।

৩৩ – এত দিন গেল বড়ায়ি তোর আশেআশে

এত দিন গেল বড়ায়ি তোর আশেআশে। রাধা চিন্তিআঁ মোর চৌখে নিন্দ না আইসে।।
বচন আহ্মারে দিআঁ ভাণ্ডহ কেহ্নে। এভোঁ না করাইলেঁ মোর রাধা দরশনে।। ১
রাধিকা লআঁ চল মথুরার হাটে। মাহাদাণী হআঁ আহ্মে রহি গিআঁ বাটে।। ধ্রু
কালি যাইব আহ্মে বড়ায়ি বিহাণী। তোহ্মে সোঁঅরিহ বড়ায়ি আহ্মার বাণী।।
আজি রাতী সুত গিআঁ আইহনের ঘরে। প্রভাত সময় হৈলেঁ চলিহ সত্বরে।। ২
অন্তরে বাঢ়এ মোর দারুণ মদনে। রহিতেঁ না পারোঁ বিণি [১৫/১] রাধা দরশনে।।
যতেক প্রবন্ধ সব জাণহ আপণে। কি বুলিব তোরে উপদেশ বচনে।। ৩
রাধাক দেখিলেঁ আহ্মে চাহিব দানে। খর শীতল আর বুলিব বচনে।।
আহ্মাক গঞ্জিহ বড়ায়ি নির্ভয় মনে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাস বাসলীগণে।। ৪
দেশবরাড়ীরাগ ।। রূপক ।।

কৃষ্ণস্য বাচমাচম্য জরতী কপটে পটুঃ।
অভিমন্যুপ্রসূং প্রাহ রাধায়া মথুরাগতিম্।।

৩৪ – আইহনের ঘরে গিআঁ সাঁঝ সমএ

আইহনের ঘরে গিআঁ সাঁঝ সমএ। বড়ায়ি বুইল হেন আইহনের মাএ।।
চিরকাল দধি দুধ ঘরে নঠ হএ। এবেঁ মথুরার হাট জাইতেঁ জুআএ।। ১
বোল রাধিকারে সহি বড়ই যতনে। যেহ্ন জাঁএ রাধা কালি বড়ই বিহাণে।। ধ্রু
আপণে ভাবিআঁ দেখ থীর করী মণে। বিণী বিকীএঁ হএ গোআলের ধনে।।
আহোনিশি আহ্মে সহি তোর ভাল চাহী। তেঁসি সংহতী করি নিতেঁ চাহোঁ রাহী।। ২
আহ্মে আপুণী জাইব সংহতি তাহারে। কেহো তবেঁ কিছ বোল বুলিতেঁ না পারে।।
গোআলের বহু ঝি লইআঁ জাইব আহ্মে। তার মাঝেঁ রাধাহো পাঠাআঁ দেহ তোহ্মে।। ৩
হেন মতেঁ আইহন মাএর আনুমতী। বড়ায়ি লইআঁ দিল রাধিকাক প্রতী।।
তবেঁ ভৈল হাট জাইতেঁ রাধিকার মতী। গাইল বড়ু চণ্ডীদাস বাসলীগতী।। ৪
গুজ্জরীরাগ ।। যতি।।

৩৫ – ঘৃত দধি দুধ ঘোলেঁ সাজি

ঘৃত দধি দুধ ঘোলেঁ সাজিআঁ পসার। নেত বসন দিআঁ উপরে তাহার।।
আনুমতী লআঁ রাধা সাসুড়ীর থানে। লাস বেশ করে রাধা বড়ই বিহাণে।। ১
মথুরা চলিলী রাধা বড়ায়ির সঙ্গে। সব সখিজন লআঁ আতি বড় রঙ্গে।। ল ।। ধ্রু
কপোল যুগল তার মহুলের ফুল। ওঠ আধর তার বনধুলীর তুল।। ২
তিলফুল জিণী নাসা কম্বু সম গলে। কনকযূথিকামালা বাহু যুগলে।।
কমলকলিকা সম তার পয়োভারে। ডমরু সদৃশ মধ্য নাভি গম্ভীরে।। ৩
গুরু জঘন নিতম্ব উরু করিকার। চরণযুগল থলকমল আকারে।।
কবিরাজ জিণী রাধা করিল গমনে। গাইল বড়ু চণ্ডীদাস বাসলীগণে।। ৪
আহেররাগ ।। একতালী ।।